ব্রিজের কাজ শেষ না ক‌রেই পা‌লি‌য়ে‌ছেন ঠিকাদার ছাত্রলীগ নেতা

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কু‌ড়িগ্রা‌মের রাজারহা‌টে প্রায় দুই বছর ধ‌রে মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে বালাটারী গ্রামে এক‌টি সেতু। মেয়াদ শেষ হ‌লেও কাজ সম্পন্ন ক‌রে‌নি ঠিকাদা‌রি প্রতিষ্ঠান।

অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে, মূল ঠিকাদা‌রের কাছ থে‌কে কাজ‌টি বা‌গি‌য়ে নেন কু‌ড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক সভাপ‌তি র‌কিবুজ্জামান রা‌কিব। এরপর ওই ছাত্রলীগ নেতা খেয়ালখু‌শি ম‌তো কাজ করেন। কা‌জের ধীরগ‌তি‌র কারণে নি‌র্দিষ্ট সম‌য়ে কাজ শেষ কর‌তে না পারায় ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়েছে ওই এলাকার ক‌য়েক হাজার মানুষ।

জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের বালাটারী- মানাবাড়ি কালিরহাট মরা তিস্তা বিলের ওপর গত ২০২১-২২ অর্থ বছ‌রের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৬৮ লাখ ২৮৪৮৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ‌টি পান মেসার্স মিম ট্রেডার্স না‌মে এক‌টি ঠিকাদা‌রি প্রতিষ্ঠান। প‌রে কাজটি কি‌নে নেন তৎকালীন কু‌ড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপ‌তি র‌কিবুজ্জামান রা‌কিব।

স্থানীয়রা জানান, শুরু‌ থে‌কে সেতু নির্মা‌ণে নানা অ‌নিয়ম ছিল। ঠিকাদার ক্ষমতাসীন দ‌লের প্রভাশালী নেতা হওয়ায় ইচ্ছাম‌তো কাজ ক‌রে‌ছেন। তার ভ‌য়ে প্রতিবাদ করারও সাহস পায়‌নি কেউ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থা‌নের পর গা ঢাকা দেন তি‌নি।

ওই এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম, সা‌হের আলী, ম‌য়না বেগম বলেন, দুই বছর আগেই ভা‌লো ছিল। পুর‌নো ব্রিজ‌টি ভে‌ঙে কাজ ফে‌লে রে‌খে যায় ঠিকাদার। শুক‌নো মৌসু‌মে অ‌ন্যের জ‌মির আইল দি‌য়ে চলাচল করা গে‌লেও বর্ষা মৌসু‌মে চরম বিপা‌কে পড়‌তে হয়। রাস্তা থে‌কে ব্রিজটি অ‌নেক উঁচু হওয়ায় ঝুঁকি নি‌য়ে মই বে‌য়ে উঠ‌তে হয়। এতে ক‌রে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।

এ বিষ‌য়ে ছাত্রনেতা র‌কিবুজ্জামান রা‌কিবের চাচা আবু সা‌য়েম বলেন, বি‌জ্রের কাজ প্রায় শেষ। রা‌কিব তো এখন নেই, তাই কা‌জ দেখভা‌লের দা‌য়িত্ব আমা‌কে দি‌য়ে‌ছে। দু’এক‌দি‌নের ম‌ধ্যে ভেকু (এস্কে‌ভেটর) দি‌য়ে সং‌যোগ সড়‌কে মা‌টি ভরাট করা হ‌বে।

উপ‌জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আসাদুজ্জমান বলেন, দীর্ঘ‌দিন কাজ‌টি বন্ধ থাকায় গত বছ‌রের ১৩ ফেব্রুয়া‌রি মূল ঠিকাদার মোক‌ছেদুল হক‌সহ মন্ত্রণাল‌য়ে দুই দুইবার চি‌ঠি দি‌য়ে‌ছি। শু‌নে‌ছিলাম ছাত্রলীগ নেতা র‌কিবুজ্জামান রা‌কিব কাজ‌টি ক‌রে‌ছি‌লেন। তবে আজকা‌লের (সোমবার) ম‌ধ্যে ব্রিজের সং‌যোগ সড়‌কে মা‌টি ভরাট করে চলাচ‌লের ব্যবস্থা করা হ‌বে।

 

Related Articles

Back to top button