গুলশানে আবুল হোসেন শাওনের দেহ ও মাদক ব্যবসা অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে আবুল হোসেন শাওনের স্পা সেন্টারে দেহ মাদক ব্যবসার অভিযোগ ওঠেছে। সে গ্রামের অসহায় মেয়েদের দিয়ে দেহ ও মাদক ব্যবসার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে বহুুদিন ধরে ওসির সাথে ভালো সম্পর্ক করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন । কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না তার এই অবৈধ্য ব্যবসা। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারছে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা। অসহায় মেয়েদের চাকুরীর প্রোলভন দেখিয়ে তাদের দিয়ে জোড় করে চলে এই অবৈধ্য ব্যবসা। তাদের বিরুদ্ধে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলে তাদেরকে এক হাজার টাকা দিয়ে মেনেছ করে পেলে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোন কার্যক্রমই দেখা যাচ্ছে না। আবুল হোসেন শাওন গুলশানে একটি স্পা সেন্টার রয়েছে এবং গুলশান থানায় তার নামে অনেক গুলো মামলা রয়েছে । যেখানে চলে সুন্দরি রমনিদের দিয়ে দেহ ব্যবসা।
তাদের প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন মেয়ের সাথে কথা বলে জানাযায়, আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের দিয়ে জোড় করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। আমাদের ভালো চাকুরী দেওয়া কথা বলে গ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে আবুল হোসেন শাওন। এক দালাল
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবুল হোসেন শাওনের প্রতিষ্ঠানের এক মেয়ে সত্য প্রকাশ কে বলেন, আমার স্বামী নেই গ্রামে থাকতাম এমন সময় আবুল হোসেন শাওন পরিচয় দিয়ে মেয়েকে ফোন করে চাকরির কথা বলে তাই আমি চাকুরীর জন্য গ্রাম থেকে ঢাকা আসি। তারা এনে এক বাসায় রাখেন আমাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। আমি কখনো ভাবি নাই আমার জীবনের এই অবস্থা হবে। এইটা কী কোন মানুষের জীবন হতে পারে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন পুরুষের সঙ্গী হতে হয় এবং মাদক সেবন করতে হয় ।অন্য আরেক মেয়ে বলেন, আমাকে চাকুরীর কথা বলে তারা ঢাকায় নিয়ে আসে। এনে আমাকে এক স্পা সেন্টারে বিক্রি করে করে দেন একটি দালাল পরে শুনি আমাকে রেখে সে চলে গেছ। এখন আমি অসহায় হয়ে এই কাজ করছি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে নামে বিউটি পার্লার হলেও এর আড়ালে চলে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা। আর এইসব বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে বেশিরভাগই নারীকর্মী কাজ করেন। তারা পুরুষদের শরীর ম্যাসেজ, দেহ ও মাদক সহ অনৈতিক কাজে জড়িত বলে যানা যায়। গুলশান- এলাকার ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারের মধ্যে কেবল এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে অনৈতিক কাজে হয় সেখানে পাওয়া যায় থাই নাগরিকসহ দেশি বিদেশি মেয়ে অভিযোগ রয়েছে বহুদিনের।
তাদের সম্পর্কে খুজ নিয়ে জানাযায়, তারা দীর্ঘ দিন এই কাজের সাথে জড়িত আছেন । তাদের সাথে আওয়ামী লীগের ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে উঠাবসা এবং গভির সম্পর্ক রয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ ও ছাএলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মনরঞ্জণ করার জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের রমনিদের ব্যবহার করেন। সুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নারী সাপ্লাইও করে থাকেন তারা বিভিন্ন বাসায়।
আবুল হোসেন শাওনের স্পা সেন্টার সম্পর্কে খোজ নিয়ে আরো জানা যায় গুলশান স্পা সেন্টারের বড় দালাল হিসাবে সে পরিচিত এবং ।তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এই আবুল হোসেন শাওন একটি চক্রে রয়েছে যারা এই অবৈধ্য প্রতিষ্ঠান গুলো চালিয়ে যাচ্ছেন ।
যেখানে স্পা সেন্টার নামে চলে অনৈতিক কাজ সেই প্রতিষ্ঠান গুলো হলো, গুলশান এর ২ এর একটি আবাসিক বাড়ি ।
ভবনগুলোর নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সকালে প্রতিষ্ঠান খোলা হলেই সুন্দরী মেয়েরা ভিতরে প্রবেশ করে। আর সারাদিন এইসব প্রতিষ্ঠানে পুরুষ আসা-যাওয়া করে। ভিতরে তাদের কি কাজ হয় তা আমরা জানি না।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকতার সত্য প্রকাশ কে জানান, আমরা এই প্রতিষ্ঠান চালাই পুলিশের সহযোগিতায়। আমরা পুলিশকে মাসিক টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করি।
এই অভিযোগ বিষয়ে আবুল হোসেন শাওন এর সাথে মোঠফোন যোগাযোগ করলে তিনি সত্য প্রকাশ কে বলেন, মাসে এক হাজার টাকা নিয়ে যাবেন না নিলে আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না। এবং তিনি আরো বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে আসছে শাওন এই স্পা সেন্টারের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা সত্য প্রকাশ কে বলেন, তারা আমাদের কাছে থেকে বিউটি পার্লারের ট্রেড লাইন্সেস নিয়েছে। তারা বৈধ্য লাইসেন্স নিয়ে অপরাধ মূলক কাজ করে আসছে। আমরা এই বিষয়ে জানতাম না। এখন জেনেছি আমরা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এই বিষয়ে ডিসিপ্লিন শাখার এক পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সত্য প্রকাশ কে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা আমাদেকে সুনিদিষ্ট অভিযোগ দিয়েছেন । আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।
তাদের অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত আসছে প্রিন্টে ……….