রাজউকের দূর্নীতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি নির্মাণাধীন মসজিদও
এইচ এম মাহমুদ হাসান: ৭ নভেম্বর’২৪ বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্যাসিবাদের দোসর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের অপসারণ ও প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং এই বাংলা সহ ফ্যাসিস্ট মিডিয়া বন্ধের দাবিতে বৈষম্যহীন কারা মুক্তি আন্দোলন, রাজউকের ইঞ্জিনিয়ার ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুফতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার তাজ উদ্দিন আহমদ তানভির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার তাজ উদ্দিন আহমদ তানভির বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ২৪ এর আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে থেকে স্বৈরাচারী প্রভাব বিস্তার করছে।
বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক’র কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে, এই কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে প্লান পাশ দেন, আর টাকা না দিলে বিল্ডিংয়ের প্লান সর্বনাশ করে দেন এই অসাধু কর্মকর্তারা।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, তাদের ঘুষ দূর্নীতি রোষানল থেকে মুক্তি পায়নি মসজিদের প্লান পাশও।
গত সরকারের আমলে স্বৈরাচারী প্রভাব খাটিয়ে যে দূর্নীতি করেছেন তা এখনো বহাল তবিয়তে অব্যাহত রয়েছে।
রাজউকের জোন-২ এর পরিচালক স্বৈরাচারের দোসর মোবারক হোসেনের সিন্ডিকেটের দোসরদের অত্যাচারে রাজউকের কর্মকর্তারাসহ ভবনমালিকরা অতিষ্ঠ। মোবারক হোসেনসহ তার দোসরদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজউকের প্রকৌশলী ইমরুল কায়েসের ঘুষের হাত থেকে রক্ষা পায়নি মুসলমানদের ধর্মীয় উপসানালয় ( রাজধানীতুরাগ থানার চন্ডলভোগের) বাইতুন নূর জামে মসজিদও।
ঘুষ না দেওয়ায় এখনো সেই মসজিদের প্লান পাশ ঝুলে আছে। যার ফাইল নাম্বার ১০৭/২০ ।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যহীন কারা মুক্তি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গুম ও মামলার স্বীকার হয়েছি এবং সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার আমাদের নামে জঙ্গি শিরোনামে রিপোর্ট করেছে যা সংবাদ পত্রের নিয়ম বিরোধী কাজ। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সহ এই ধরনের পত্রিকার মালিকানা পরিবর্তন ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম কে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যহীন কারা মুক্তি আন্দোলনের উপদেষ্টা, মাওলানা ইসহাক খান, মুফতি আতাউর রহমান,বাইতুন মসজিদের সভাপতি আব্দুল মান্নান ও হাজী আমিন উদ্দিনসহ আরো অনেকে।