সাতটি কলেজকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাতটি কলেজকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন এসকল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তারা ঘোষণা দিয়েছেন, স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রেখে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন’ গঠন না করা হলে তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
সর্বশেষ সংযোজন হিসাবে রোববার ও সোমবার তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই সাতটি সরকারি কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।
গত ৩১শে অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে তো বটেই, সেই সঙ্গে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ‘অবিবেচক বক্তব্য’ প্রত্যাহার করার দাবিও তুলেছেন।
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের এই দাবি কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে জড়ো হয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সেসব এলাকাসহ আশপাশের সব সড়কে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। তবে শহরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আপাতত সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসভিত্তিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাইছেন।
তবে সরকার যদি যথাযথ কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে ‘সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিম’।
২০১৭ সালে যখন সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিলো, তখন অনেকেই সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে যে সেইসময় কোনও আপত্তিতে কর্ণপাত না করে সাত কলেজকে ঢাবি’র অধীনে কেন নিয়ে আসা হয়েছিলো?
এরপর গত সাত বছর ধরে এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন ঠিক-ই। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বের হয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবি তারা কখনোই এভাবে সরাসরি তোলেননি এবং কঠোর অবস্থানে যাননি। হঠাৎ তারা কেন এই দাবি করছেন এবং এই দাবির বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব?