গুলশানে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ ম্যাসাজ পার্লার ও স্পা সেন্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশানে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ ম্যাসাজ পার্লার ও স্পা সেন্টার
আর এসব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা এবং এসব অপরাধের কারনে রাজধানীতে সাধারন মানুষ বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে দ্বাড়িয়েছে। কারন অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা।
এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গুলশানে মিরাজের ৩৩ নং রোডে ৬ নং বাড়িটির মালিক ও ম্যানেজারের সহযোগীতায় ৪র্থ তলায় অবস্থিত একটি গেষ্ট হাউজ এবং আগোড়া (আরএম) সেন্টার রয়েছে তার আরেকটি বিলাসবহুল স্পা সেন্টার। প্রতিষ্ঠান দুটির আড়ালে ভয়াবহ নারী ও মাদক সিন্ডিকেট। যাদের মাধ্যমে গোটা রাজধানী থেকে খদ্দের সংগ্রহ করে থাকেন।
এছাড়াও তিনি মিরপুর, গাবতলী, যাত্রাবাড়ি কিংবা রাজাধানীর বাইরে রয়েছে তার একাধিক অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব ব্যবসায় তিনি আজ কোটিপতি। এসব বিষয়ে উক্ত অপরাধীদের নিকট জানতে চাইলে তিনি গনমাধ্যম কর্মীকে হত্যাসহ অকথ্যভাষায় গালিগালছ করে থাকেন।
যার একটি ভয়েজ রেকর্ড গনমাধ্যমকর্মীদের নিকট প্রমানিত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি অনেক পুরানো ব্যবসায়ী তাই এসব তোয়াক্কা করিনা। কারন এসব ব্যবসা করতে হলে পাড়া মহল্লা ও পুলিশ প্রসাশন ম্যানেজ করেই করতে হয় এবং এখান থেকে তারা মাসোহারা নিয়ে থাকে বলেই টিকে আছি। এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়েও এসব কর্মকান্ড করেন বহুদিন ধরে। তাই আপনাদের মত সাংবাদিকদের দেখে নেওয়া কোন বিষয় না। তাদের মিরাজের কর্মকান্ডে বেপারোয়ায় অতিষ্ঠ গুলশান ও মিরপুর জনসাধারন।
কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তবে সাইফুল-রাজুর বিরুদ্ধে পূর্বেও মাদক নারী বাণিজ্যর মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না। তবে পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও অর্থের বিনিময়ে তার নিকট হার মানায়। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।
এবিষয়ে গুলশান থানাকে অবগত করলে তারা অভিযান চালানোর চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে। তবে বাইরের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে এত ভয়ংকর কারবার চলছে। তবে প্রতিষ্ঠান দেখলে মনে হবে পাঁচ তারকা হোটেল। প্রতিষ্ঠানটিতে রযেছে তাদের নিরাপত্তার জণ্য একাধিক সিসি ক্যামেরা। এতে করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর আগেই অপরাধীরা দুরে ছিটকে পরে। প্রতিষ্ঠান ঘিরে রয়েছে বড় ধরনের একটি নারী চক্র ও মাদক কারবারী।
উক্ত অপরাধীরা সহজ-সরল মেয়েদের উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ডায়মন্ড স্পা সেন্টারটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে এবং দেশ ও দেশের বাইরে রয়েছে একটি বড় নারী সিন্ডিকেট। এসব অসাধু উপায়ে তারা হয়েছেন আজ কোটিপতি।
এবিষয়ে গুলশান থানার ওসি বলেন, এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা, আর তারা যদি আমার নাম ভাঙ্গিয়ে থাকে তাহলে সেটির ও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আপনারা সত্য সংবাদ প্রকাশ করেন এবং আমরা আপনাদের সাথে আছি।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে গুলশানে পুরো সমাজ আজ কোয়দায়। তাছাড়া ডিসি স্যারের ও নির্দেশ রয়েছে যে এসব প্রতিষ্ঠান থাকবে না। আমরা নতুন স্বাধীন দেশকে ভিন্ন রুপে নিয়ে যেতে চাই। অনুমোদনবিহীন এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরো বিস্তারিত আসছে…প্রিন্টে