অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। কিন্তু কোনো বারই খানদের মতো পারিশ্রমিক পাননি
বিনোদন ডেস্ক :অভিনয় জীবনে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, ভাইজান সালমান খান, পারফেক্টশনিস্ট আমির খানের মতো বড় বড় অভিনেতাদের বিপরীতে কাজ করেছেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। কিন্তু কোনো বারই খানদের মতো পারিশ্রমিক পাননি তিনি।
নারীদের শ্রমের মূল্য নিয়ে বড় বড় আলোচনাসভার আয়োজন করা হয় বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু দিনের শেষে সমকাজে সমবেতনের দাবি পূরণ করা হয় না। নিত্য খেটে খাওয়া নারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে এটি যেমন সত্য, তেমনই বলিউডের রঙিন নায়িকাদের ক্ষেত্রেও তা সমানভাবে প্রযোজ্য। অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে দৃঢ়ভাবে নিজের মত প্রকাশ করেছেন কারিনা কাপুর খান। ফের একবার জোরালোভাবে তুলে ধরলেন এই বৈষম্যের দিকটি।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন রাজ কাপুরের পৌত্রী কারিনা কাপুর। অভিনয় জীবনে তিনি বড় বড় অভিনেতাদের বিপরীতে কাজ করেছেন। কিন্তু কোনোবারই খানদের মতো পারিশ্রমিক পাননি। এমনকি তার স্বামী সাইফ আলি খানের সমপরিমাণ পারিশ্রমিকও পান না এ অভিনেত্রী।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে ‘কভি অলবিদা না কহনা’ ছবিতে কাজ করার জন্য শাহরুখ খানের সমপরিমাণ পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন কারিনা কাপুর। ফলে কাজটি তাকে হারাতে হয়। শুধু তা-ই নয়, এ বিষয়ে প্রযোজক করণ জোহরের সঙ্গেও তার মনোমালিন্য হয় বলে শোনা যায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কারিনা কাপুর দাবি করেন, সমপারিশ্রমিকের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। না মানে, না। এখন যদি আমার মনে হয় চরিত্র অনুযায়ী বা আমার নিজের গুরুত্ব অনুযায়ী যথেষ্ট মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না, তা হলে আমি আর কাজ করি না। আমি অপেক্ষা করব। আমি চেষ্টা করব যাতে ওরাও অনুভব করেন, আমি ঠিক পুরুষ সহ-অভিনেতাদের মতোই ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু নিজের কথাই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেত্রীদের জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন কারিনা কাপুর। তিনি বলেন, না বলার অর্থ এই নয় যে, তারা আত্মবিশ্বাসী নন। বরং না মানে, না। যদি কোনো বিষয়ে নিজেকে স্বচ্ছন্দ না মনে হয়, সেটি পোশাক হোক, খাবার হোক বা যে কাজ করতে চাইছেন তা যদি নিজের মনের মতো না হয়, তা হলে প্রত্যাখ্যান করাই ভালো। আমার মনে হয়, না বলার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস খুঁজে নেওয়া যেতে পারে।