বনানীতে ২৭ নম্বর রোডে বিএনপি নেতার মোজাম্মেলের বাডি তে সহিদের স্পা সেন্টারে দেহ ও মাদক ব্যবসার ।

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর অভিযাত এলাকা বানানী তে আবাসিক ফ্ল্যাটে বিউটি পার্লার-সেলুনের আদলে গড়ে উঠেছে সহিদের রমরমা দেহ ও জুয়া মাদকের আঁখড়া। প্রতিনিয়ত বারছে মাদকসেবী ও পতিতাদের আনাগোনা। নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ ও সামাজিক পরিবেশ।

প্রশাশনের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টুনিতে ঘেড়া রাজধানীর অভিযাত এলাকা বনানী নং ২৭ রোড বাড়ি নং ৩৭ লিফ্টের ৫ সড়কের একটি বাড়িতে বিউটি পার্লার ও সেলুনের আদলে গড়ে তুলা হয়েছে মাদক ও দেহ ব্যবসার অভয়ারন্য। সকাল থেকে গভির রাত অবধি চলে এই কার্যক্রম। এমন ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে খদ্দের সেজে একজন প্রবেশ করেন সহিদের সেলুনে। সেখানেই কথা হয় মাদকের বিষয়ে। প্রতিপিস ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম নেন ৩৫০ টাকা,মেয়ে দিয়ে খাইয়ে দিলে দিতে হবে ৫শত টাকা, আবার ফেন্সিডিল এক বোতল ৪ হাজার পাঁচ শত আর হাফ নিলে ২ হাজার পাঁচ শত টাকা । সেখানে ইচ্ছে হলে যৌন আকাংখা মিটাতে পারেন পছন্দের কোন রমনির সাথে । সেজন্য রয়েছে আলাদা দর। বিভিন্ন বয়সী মেয়ের জন্য দিতে হবে আলাদা আলাদা দাম। স্কুল পড়ুয়া কোন মেয়ের সাথে যৌনাচারে দিতে হবে কম করে হলেও ১০ হাজার- ৫০ হাজার টাকা। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য ৮ – ২০ হাজার, সেই সাথে রয়েছে উঠতি মডেল ও নিয়মিত পতিতাদের সাথে যৌনাচারের ব্যবস্থা । খদ্দের আনতে রয়েছে ডজন খানিক দালাল। বাহির থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই এখানে আসলে কি হয়। কাষ্টমার আসলে প্রথমে নেয়াহয় সেলুনে, সেখানেই মিটিয়ে নেয়াহয় দরদাম। বনিবনা হলেই নিয়ে যাওয়া হয় ওপর তলার তাদের ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাট গুলোতে। বাড়ির ম্যানেজার সাহেবের সাথে এই বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে সে বলেন আমি কিছু বলতে পারবনা। এই বিষয়টি নিয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) সাহেবের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি। দহ্মিন সিটি করপোরেসনের এক কর্মকতা বলেন তারা আমাদের কাছে থেকে বিউটি পার্লারের ট্রেড লাইন্সেস নিয়ে অপরাধ মূলক কাজ করে থাকেন আমরা অল্প সময়ের ভিতরে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো বলে বিষয় টি নিশ্চিত করেন।তবে কে এই সহিদ আমরা অনুসন্ধান করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করতেছি । বিস্তারিত আসছে।

Related Articles

Back to top button